বুধবার ২২ মে ২০২৪
Online Edition

বন্ধ হলো রামেক  হাসপাতালের করোনা ইউনিট

 

রাজশাহী ব্যুরো: রাজশাহীতে করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী না পাওয়ায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বিশেষায়িত ওয়ার্ড ‘করোনা ইউনিট’।  গত শুক্রবার ওয়ার্ডটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ২০২০ সালের মার্চের দিকে এই হাসপাতালে করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশেষায়িত ‘করোনা ইউনিট’ তৈরি করা হয়েছিলো। প্রায় দীর্ঘ দু’বছর পর করোনামুক্ত হলো রাজশাহী মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৪ জুলাই ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে একদিনে সর্বোচ্চ ২৫ জনের মৃত্যু হয়। রাজশাহীতে মেডিকেলে ২০২১ সালের মাঝামাঝিতে করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও সংক্রমণ ছিলো। সে সময় হাসপাতালের ১৩ নং ওয়ার্ডে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়া হয়। তখন হাসপাতালে মোট করোনা রোগীদের শয্যার সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫৪ টিরও বেশি। তবে হাসপাতালে শয্যা সংখ্যার দ্বিগুণের বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিলো বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। করোনা ইউনিটের প্রতিটি ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দা রোগীতে পূর্ণ ছিলো।

এ বছরের শুরু থেকেই করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ নি¤œমুখি হতে থাকে। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিলো মাত্রা ৩ থেকে ৬ জন। সংক্রমণের পরিমাণ মাসের প্রথম থেকেই শূন্য। শুক্রবার সংক্রমণ ও মৃত্যু দুটি’ই ‘শূন্য’ নেমে আসে।

করোনা ইউনিট বন্ধের বিষয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী জানান, করোনাকালের মতো মৃত্যু ও আক্রান্তের হার এখন আর নেই। এজন্য শুক্রবার (১৩ মে) মেডিকেলের করোনা ইউনিটটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দু’জন রোগী করোনার লক্ষণ নিয়ে আসে তাদের রাজশাহী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল (আইডিএইচ) এ পাঠানো হবে বলে হাসপাতাল সূত্র জানান।

রাবি শিক্ষকের বাসায় চুরি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শিক্ষকদের আবাসিক কোয়ার্টারে এক শিক্ষকের ফ্ল্যাট থেকে সোনার গয়না ও নগদ টাকাসহ চুরির অভিযোগ ওঠেছে।

 খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১২ মে বেলা ২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পশ্চিম পাড়ার শিক্ষকদের থাকার আবাসিক কোয়ার্টারে ডব্লিউ-৯/এফ নম্বর বাড়িতে চুরি হয়। চুরি হওয়া ফ্লাটে থাকতেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদা আক্তার ও তার স্বামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল মামুন ভুঁইয়া।

মাহমুদা আক্তার বলেন, ঈদের ছুটি থাকায় আমরা এখনো বাড়িতেই অবস্থান করছি। এই সুযোগে বাসার দরজা ভেঙে চোরেরা বাসায় ঢুকে সোনার গয়না, আংটি, গোল্ড মেডেল ও প্রায় ২০ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় দুই থেকে তিন লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে চুরির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি গতকাল জানতে পেরে আমি ফ্ল্যাটে ফিরে দেখি দরজায় তালা ভাঙ্গা। বাসায় একটি আলমারি ছিল, সেটার তালাও ভাঙা ছিল। পুরো ঘর এলোমেলো হয়ে আছে। ভাবলাম হয়তো চোরেরা পাশের ইউনিটের সব নিয়ে গেছে। কিন্তু পরে দেখি আমাদের ফোন, ল্যাপটপসহ ইলেকট্রনিক ডিভাইস ছাড়া সোনার অলঙ্কার ও টাকাগুলো নিয়ে গেছে। পুলিশকে জানানো হলে তারা এসে দেখে গেছেন। মামলা করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত মতিহার থানায় মামলা করা হয়েছে।

নিরাপত্তার অভাবকে দায়ী করে তার প্রতিবেশী শিক্ষকরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে দিনে-দুপুরে এভাবে চুরি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক হয়েও আমাদের দুঃশ্চিন্তায় দিনাতিপাত করতে হচ্ছে। আবাসিক শিক্ষকদের কোয়ার্টারের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান তারা।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ